সারা বিশ্বে ক্রীড়া কার্যক্রমকে উৎসাহিত করার জন্য, ৭ মে বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স দিবস হিসাবে প্রতি বছর পালিত হয়। ১৯৯৬ সালে প্রবর্তিত দিবসটির উদ্দেশ্য হল অ্যাথলেটিকস সম্পর্কে যুবকদের মধ্যে সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়া। এটি ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অফ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন (IAAF) দ্বারা ‘অ্যাথলেটিক ফর এ বেটার ওয়ার্ল্ড’ শিরোনামের একটি সামাজিক দায়বদ্ধতা প্রকল্প হিসাবেও চালু করা হয়েছিল।
ফিটনেস এবং স্বাস্থ্যের গুরুত্ব প্রচার করার জন্য বিশ্বজুড়ে বিশেষ দিনটি পালন করা হয়। একারণে বেশ কয়েকটি স্কুল এবং কলেজ অনেকগুলি ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয় এবং শিক্ষার্থীদের এতে অংশগ্রহণ করতে উৎসাহিত করে দিবসটি উদযাপন করা হয়।
বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স দিবসের ইতিহাস :
১৯৯৬ সালে IAAF সভাপতি প্রিমো নেবিওলো এই দিনটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। IAAF প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ১৭ জুলাই, ১৯১২, সুইডেনের স্টকহোমে; পরে এর নাম পরিবর্তন করে ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাসোসিয়েশন অফ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন’ করা হয়।
বর্তমানে, ফেডারেশনটি ‘ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিক্স’ নামে পরিচিত, যা ২০১৯ সালে ঘোষণা করা হয়েছিল। অ্যাথলেটিক্সের বিশ্ব নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ হিসাবে ওয়ার্ল্ড অ্যাথলেটিক্স যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তা হল প্রতিযোগিতামূলক কর্মসূচি তৈরি করা, প্রযুক্তিগত সরঞ্জামের মান নির্ধারণ করা এবং ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের একটি অফিসিয়াল তালিকা তৈরি করা। খেলাধুলার ইভেন্টে শিশুদের অংশগ্রহণ বাড়ানোও দিবসটির লক্ষ্য। প্রতি বছর, এটি বিশ্বের প্রতিটি ক্ষেত্রে খেলাধুলাকে একটি সাশ্রয়ী মূল্যের কার্যকলাপে পরিণত করার জন্য বিভিন্ন কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে ।
বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স দিবসের তাৎপর্য :
বিশ্ব অ্যাথলেটিক্স দিবসের আয়োজন ছাড়াও বিশ্ব অ্যাথলেটিক্সের বেশ কিছু উদ্দেশ্য রয়েছে। এই উদ্দেশ্য গুলো হলো –
১) তরুণদের মধ্যে খেলাধুলাকে জনপ্রিয় করা।
২) অ্যাথলেটিক্সকে এতটা ছড়িয়ে দেওয়া যে এটি প্রতিটি স্কুল এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রাথমিক খেলা হয়ে ওঠে।
৩) অ্যাথলেটিক্স সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা এবং যুবকদের মধ্যে ক্রীড়া কার্যকলাপের গুরুত্ব ছড়িয়ে দেওয়া।
৪) যুব, খেলাধুলা এবং পরিবেশ সংরক্ষণের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোগ স্থাপন করা।