বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় আসরে ক্রিকেট পর্বের পুরুষ ক্যাটাগরিতে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠেছে স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ। মঙ্গলবার (২০ সেপ্টেম্বর) ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের মাঠে দ্বিতীয় পর্বের ডি গ্রুপের খেলায় ফারইস্ট ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিকে ৭ উইকেটে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে স্টেট ইউনিভার্সিটি।
প্রথমে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় স্টেট ইউনিভার্সিটি একাদশের অধিনায়ক সিফাত মোর্শেদ। ফারইস্ট ইউনিভার্সিটি তাদের নির্ধারিত ১০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ৫৯ রান সংগ্রহ করে। এদিকে ৫৯ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে স্টেট ইউনিভার্সিটি ৭ উইকেট হাতে রেখেই ৬২ রান সংগ্রহ করে জয় তুলে নেয়।
ম্যাচ শেষে অধিনায়ক সিফাত মোর্শেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা প্রথম থেকেই স্মার্ট ক্রিকেট খেলার চেষ্টা করেছি। শেষ পর্যন্ত আমরা জয়ী হয়েছি। আশা করছি ভালো খেলার মাধ্যমে আমরা পরবর্তী ম্যাচেও এই জয়ের ধারা অব্যাহত রাখতে পারবো।’
স্টেট ইউনিভার্সিটি একাদশের টিম ম্যানেজার হাছান ইবনে মনির বলেন, ‘আমরা আজ জয় নিশ্চিত করে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেছি। আমি আমাদের টিমের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ, কোচ এবং সব সাপোর্টারকে ধন্যবাদ জানাই।’
খেলা চলাকালীন স্টেট ইউনিভার্সিটির হয়ে মাঠে উপস্থিত ছিলেন স্টেট ইউনিভার্সিটি স্পোর্টস একাডেমির প্রজেক্ট ডিরেক্টর বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার জাভেদ ওমর বেলিম, স্পোর্টস কো-অর্ডিনেটর মোহাম্মদ হামিদুর রহমান সাব্বির, মোহাম্মদ রাকিব হাসান।
এর আগের দিন সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দ্বিতীয় পর্বের প্রথম ম্যাচের খেলায় যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়কে ৯ উইকেটে হারায় স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ।
গত ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার হাতির ঝিলের এম্ফিথিয়েটারে বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় আসরের উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে স্পেলবাউন্ডের পরিচালনায় সারাদেশের পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মিলিত অংশগ্রহণে আয়োজিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপের তৃতীয় আসর। ১২৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশগ্রহণে ১২টি ইভেন্টের সমন্বয়ে নারী-পুরুষ উভয় বিভাগে ৭ হাজারেরও অধিক শিক্ষার্থী অংশ নেবে এ আসরে।
মুজিব বর্ষ ও বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তীকে উৎসর্গ করে এবারের আসরের প্রতিপাদ্য বিষয়, ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার দেশ, তারুণ্যের বাংলাদেশ’। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে চলবে এ আয়োজন। আসরের প্রত্যেক ইভেন্টে অংশ নেওয়া প্রথম তিনজন বিজয়ীকে স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জপদক দেওয়া হবে। সবচেয়ে বেশি পদকজয়ী বিশ্ববিদ্যালয় পাবে চ্যাম্পিয়ন ট্রফি।