শিক্ষাজীবনে খেলাধুলার গুরুত্বের কথা বলতে গেলে শুরুতেই স্মরণ করতে হয় আধুনিক অলিম্পিকের জনক ব্যারন পিয়ারে দ্যা কুবার্তোর সেই উক্তিটির কথা – “খেলাধুলা না করলে নিছক বিদ্যা অনুশীলনে যৌবনের উদ্যাম, শক্তি ও কর্ম ক্ষমতার অপচয় ঘটে।”
অর্থাৎ একজন আদর্শ শিক্ষার্থী এবং পরিপূর্ণ মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তোলার জন্য খেলাধুলার বিকল্প নেই। খেলাধুলা শুধু শারীরিকভাবেই গুরুত্বপূর্ণ নয় – এর গুরুত্ব রয়েছে মানসিক, নৈতিক, সামাজিক, শিক্ষা জীবনসহ নানা ক্ষেত্রে।
উল্লেখ্য, বহির্বিশ্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের র্যাংকিং – এর ক্ষেত্রেও খেলাধুলায় ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের অবদান, অংশগ্রহণ, সুযোগ-সুবিধা ইত্যাদি বিষয়কে মানদণ্ড হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
আশার কথা হলো, উচ্চ শিক্ষার জন্য বাংলাদেশের চারটি বিশ্ববিদ্যালয়েও রয়েছে খেলাধুলা নিয়ে আলাদা বিভাগ – ‘ফিজিক্যাল এডুকেশন এন্ড স্পোর্টস সায়েন্স’। আর বিশেষায়িত ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ‘বিকেএসপি’ তো আছেই।
এই খেলাধুলায় অংশগ্রহণ করার মাধ্যমেই হয়তো আমাদের জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান অর্জন করেছিলেন নেতৃত্ব প্রদানের গুণ। কারণ খেলাধুলায় সম্পৃক্ত থেকে সুশৃঙ্খল জীবনযাপন করার মাধ্যমে একজন ব্যক্তি নিজের মধ্যে গড়ে তোলতে পারে নেতৃত্ব দেওয়ার ক্ষমতাও। বঙ্গবন্ধুও তাঁর তরুণ বয়সে ফুটবল খেলতেন। তিনি মিশন স্কুলের ফুটবল দলের অধিনায়ক ছিলেন। এছাড়াও নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ফুটবল ক্লাবকে। ফুটবল ছাড়াও তিনি হকি এবং ভলিবল খেলতেন।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা পরবর্তীতে সময়েও ক্রীড়াঙ্গনে বঙ্গবন্ধু রেখেছেন নজিরবিহীন অবদান। তাঁরই হাত ধরে বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর পাশাপাশি ক্রীড়াঙ্গনের বিশ্বমঞ্চেও ঠায় পায়।
শুধু তাই নয় বঙ্গবন্ধু নিজে নিয়মিত খেলা দেখার জন্য স্টেডিয়ামে যেতেন এবং খেলোয়াড়দের খোঁজখবর রাখতেন। তাঁর দুই ছেলে শেখ কামাল ও শেখ জামাল ছিলেন ক্রীড়াবিদ এবং ক্রীড়া সংগঠক।
তাঁর মেয়ে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও একজন ক্রীড়ানুড়াগী। তিনি শত ব্যস্ততা সত্ত্বেও লাল-সবুজের প্রতিনিধি করা দলের খেলা উপভোগ করতে চলে যান স্টেডিয়ামে। খেলাটাকে এত ভালোবাসেন বলেই উৎসাহ প্রদানের পাশাপাশি ক্রীড়াক্ষেত্রে নানা অবদান রেখে যাচ্ছেন নিয়মিতভাবে।
এরই ধারাবাহিকতায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে স্পেলবাউন্ডের পরিচালনায় ২০১৯ সাল থেকে শুরু হয় ‘বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ’। বিভিন্ন পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান সহ সার্বিক সহযোগিতায় রয়েছে বাংলাদেশের ১২টি স্পোর্টস ফেডারেশন ও বোর্ড । যেখানে সম্মিলিতভাবে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশের পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা৷
মুজিব বর্ষ ও বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষদ্বয়কে উৎসর্গ করে ২০২২ সালের ০৯ সেপ্টেম্বর থেকে মাঠে গড়ায় এই প্রতিযোগিতার ৩য় আসর।
এর আগে ০৭/০৬/২০২২ তারিখ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের শহীদ শেখ কামাল মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় ৩য় আসরের মিডিয়া লঞ্চিং, প্রতিপাদ্য উদ্বোধন, থিম সং উদ্বোধন, জার্সি প্রতিযোগিতা এবং উদ্বোধন হয় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের জন্য রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়ার।
পরবর্তীতে ২২ আগস্ট, ২০২২ তারিখে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় অনুষ্ঠিত হয় মশাল প্রজ্জ্বলন ও ফিক্সচার ড্র। ওইদিন বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপের সাংগঠনিক কমিটির চেয়ারম্যান যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে মশাল প্রজ্জ্বলন করেন। পাশাপাশি আরও উপস্থিত ছিলেন সাংগঠনিক কমিটির অন্যান্য সদস্যসহ বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যবৃন্দ। উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ ও উপাচার্যবৃন্দ এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতার জন্য সাধুবাদ জানান এবং পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যকার সম্প্রতি স্থাপনে আশাবাদ ব্যক্ত করেন৷
২০১৯ ও ২০২০ সালের আসরের তুলনায় ২০২২ সালের অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিদ্যালয় এবং শিক্ষার্থী উভয়ের সংখ্যাই উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০১৯ সালে পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় মিলিয়ে অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ছিল ৬৫ টি। যেখানে খেলোয়াড়দের সংখ্যা ছিলো প্রায় ২৭০০ জন (ছেলে ১৮০০ জন, মেয়ে ৯০০)।
২০২০ সালে অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণ হয়ে দাঁড়ায় ১০৪ টি । যেখানে খেলোয়াড়দের সংখ্যাও দ্বিগুণ হয়েছে এবং তা ছিলো প্রায় ৫৫০০ জন (ছেলে ৪৮০০, মেয়ে ১৭০০)।
২০২২ সালেও অংশগ্রহণকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে ১২৫ টি হয়েছে । আর খেলোয়াড়দের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৭০০০ জনেরও বেশি (ছেলে ৫২০০ জন, মেয়ে ১৮০০)।
অর্থাৎ বলা যায় সময়ের সাথেসাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছেলে এবং মেয়ে উভয় শিক্ষার্থীদের মাঝে এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতার জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ হিসেবে উল্লেখ করা যেতে পারে বিনামূল্যে রেজিস্ট্রেশনের কথা যা দেশের প্রায় ১০ লাখ বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকে৷
২০২২ সালের ৩য় আসরে স্পোর্টস ইভেন্টের সংখ্যাও বেড়েছে। ফুটবল, ক্রিকেট, সুইমিং, অ্যাথলেটিক্স (স্প্রিন্ট, ম্যারাথন, জাম্প, হার্ডলেস), টেবিল টেনিস, বাস্কেটবল, ভলিবল, হ্যান্ডবল, সাইক্লিং, দাবা, কাবাডি ও ব্যাডমিন্টনসহ ১২টি ইভেন্টে নারী, পুরুষ উভয় বিভাগে ৭ হাজারেরও অধিক শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে এই আসরে। হাতিরঝিলে ম্যারাথন এবং সাইক্লিং প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শুরু হয়েছিলো এবারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধক ছিলেন প্রধান অতিথি পরিকল্পনা মন্ত্রী এম. এ. মান্নান।
গত ২টি আসরের চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন সংযোজন হলো ‘ক্যাম্পাস এম্বাসেডর’ যা এই ৩য় আসর থেকে শুরু হয়েছে। ১০৫ টি বিশ্ববিদ্যালয়কে প্রতিনিধিত্ব করা ৫০৯ জন শিক্ষার্থী ‘ক্যাম্পাস এম্বাসেডর’ হিসেবে এই ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় যুক্ত আছেন।
ক্যাম্পাস এম্বাসেডরদের মধ্যে রয়েছে ৪টি ভিন্ন ক্যাটাগরি। তা হলো : খেলা পরিচালনায় ২৩৭ জন, সাংবাদিকতায় ১৬৫ জন, ফটোগ্রাফিতে ১২১ জন, নিরাপত্তা এবং লিয়াজোতে ৮২ জন। এম্বাসেডররা টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই বিভিন্ন কর্মকান্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন।
শুধু তাই নয় টুর্নামেন্ট শেষে সেরা ক্যাম্পাস এম্বাসেডরদের পুরস্কৃত করা হবে এবং তাঁদের জন্য রয়েছে সার্টিফিকেশন, ইন্টার্নশিপ সহ নানারকম সুবিধা।
পাশাপাশি, শীঘ্রই ঘোষণা হতে যাচ্ছে নবনিযুক্ত ক্যাম্পাস এম্বাসেডরদের নিয়ে অনুষ্ঠিত বিভিন্ন কনটেস্টের ফলাফল এবং সেরা ক্যাম্পাস এম্বাসেডদের নাম।
০৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া দেশের প্রায় সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া নৈপুণ্য অনুষ্ঠিত হচ্ছে ঢাকায় অবস্থিত বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে। আয়োজক বিশ্ববিদ্যালয় গুলো হলো : আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ , বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ বিজনেস এন্ড টেকনোলজি, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, গ্রীন ইউনিভার্সিটি, গণ বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি, ইউনিভার্সিটি অফ লিবারেল আর্টস, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট), ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি, বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অফ ফ্যাশন এন্ড টেকনোলজি।
এবার নজর দেওয়া যাক পদক তালিকা বা পয়েন্ট টেবিলে। পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দল পাবে সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরস্কার। পয়েন্ট গণনার ক্ষেত্রে প্রতিটি স্বর্ণ পদকের জন্য ৫ পয়েন্ট, রৌপ্য পদকের জন্য ৩ পয়েন্ট, ব্রোঞ্জ পদকের জন্য ১ পয়েন্ট হিসেবে ধরা হয়েছে।
এই প্রতিবেদন লেখার সময় সর্বশেষ আপডেট অনুযায়ী সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হবার দৌড়ে এগিয়ে আছে গণ বিশ্ববিদ্যালয়। ৫টি স্বর্ণ, ৯ টি রৌপ্য, ১টি ব্রোঞ্জ পেয়ে তাদের মোট পয়েন্ট ৫৩। ২য় অবস্থানে আছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। ৬টি স্বর্ণ, ৪টি রৌপ্য, ৬টি ব্রোঞ্জ মিলিয়ে তাদের মোট পয়েন্ট ৪৮। অন্যদিকে ৪৪ পয়েন্ট নিয়ে ২য় অবস্থানে আছে উত্তরা ইউনিভার্সিটি। তাদের রয়েছে ৮টি স্বর্ণ, ১টি রৌপ্য, ১টি ব্রোঞ্জ।
৩য় ও ৪র্থ স্থানে থাকা দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের মাত্র ১ পয়েন্টর ব্যবধান। ৪র্থ হওয়া যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট পয়েন্ট ৪৩।
এরপরে ৫ম থেকে ১০ম স্থান অর্জনকারী বিশ্ববিদ্যালয় গুলো হলো যথাক্রমে ৩৩ পয়েন্ট পেয়ে ৫ম স্থানে ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ, ১৭ পয়েন্ট পেয়ে ৬ষ্ঠ স্থানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ১০ পয়েন্ট পেয়ে ৭ম স্থানে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় কুষ্টিয়া, ৯ পয়েন্ট পেয়ে ৮ম স্থানে নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটি, সমান পদক ও ৯ পয়েন্ট পেয়ে যৌথভাবে ৮ম স্থানে সোঁনারগাও ইউনিভার্সিটি, ৯ পয়েন্ট পেয়ে ৯ম স্থানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ৮ পয়েন্ট পেয়ে ১০ম স্থানে ব্র্যাক ইউনিভার্সিটি।
সব ইভেন্ট শেষ হবার পর চূড়ান্তভাবে জানা যাবে কোন বিশ্ববিদ্যালয় কততম স্থান অধিকার করেছে।
অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২২ – এ মোট পদক প্রদান করা হচ্ছে ৭২০ টি। যেখানে প্রত্যেক ইভেন্টের সেরা ৩ জন হিসেবে মোট ১৪৪ জন বিজয়ী ক্রীড়াবিদকে যথাক্রমে স্বর্ণ, রৌপ্য ও ব্রোঞ্জ পদকে ভূষিত করা হচ্ছে। সর্বোচ্চ পদক বিজয়ী নারী ও পুরুষ ক্রীড়াবিদকে সেরা ক্রীড়াবিদ নারী এবং সেরা ক্রীড়াবিদ পুরুষ পদকে ভূষিত করা হবে।
সারা দেশ থেকে অংশগ্রহণকারী ১২৫ টি পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্য থেকে সর্বোচ্চ পদক বিজয়ী বিশ্ববিদ্যালয়কে পয়েন্টের ভিত্তিতে বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ এর ৩য় আসর এর বিজয়ী ঘোষণা করে এক বছরের জন্য চ্যাম্পিয়ন ট্রফি প্রদান করা হবে। তাছাড়াও রয়েছে একটি ‘ফেয়ার প্লে’ ট্রফি।
ইতোমধ্যে অধিকাংশ ইভেন্টের পদক ওই ইভেন্ট শেষ হবার পরপর আনুষ্ঠানিকভাবে খেলোয়াড়দের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। বাকি আছে সেরা খেলোয়াড়, ফেয়ার প্লে, সেরা বিশ্ববিদ্যালয়, রানার্সআপ প্রভৃতি পুরস্কার বিতরণের। এই পুরস্কার গুলোও দেওয়া হবে আনুষ্ঠানিক ভাবেই।
সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২৩ নভেম্বর, ২০২২ (সম্ভাব্য) তারিখে বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ ৩য় আসরের সমাপনী অনুষ্ঠানটি আয়োজিত হতে যাচ্ছে। আশা করা যাচ্ছে গত আসরের ন্যায় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তোলে দিবেন। পাশাপাশি উপস্থিত থাকবেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের মাননীয় প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, বিভিন্ন ক্রীড়া সংস্থার প্রধানরা, উপাচার্যবৃন্দ, পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠানের মুখপাত্র সহ বিভিন্ন আমন্ত্রিত অতিথি বৃন্দ।
শুধু তাই নয় সমাপনী দিনে একটি সমাপনী কন্সার্টেরও আয়োজন করা হয়।
এরই মধ্য দিয়ে ‘‘বঙ্গবন্ধুর সোনার দেশ, তারুণ্যের বাংলাদেশ’’ স্লোগানটি বাস্তবায়নের মাধ্যমে পর্দা নামতে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপের ৩য় আসরের।
পরিশেষে আশাবাদ ব্যক্ত করবো – উৎসবমুখর পরিবেশে বঙ্গবন্ধু আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় স্পোর্টস চ্যাম্পিয়নশিপ যাতে প্রতিবছর আয়োজিত হয়। এর পরিধি ছড়িয়ে পড়ুক সারা বাংলাদেশে এবং ধীরে ধীরে সুস্থ প্রতিযোগিতার মাধ্যমে ভালো শিক্ষার্থীর পাশাপাশি ভালো মানের খেলোয়াড়ও বের হয়ে আসুক। যাঁরা আগামী দিনে দেশের সীমানা পেরিয়ে বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশকে মাথা উঁচু করে প্রতিনিধিত্ব করবে…